রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বঙ্গোপসাগরে এক জেলের ট্রলারে ধরা পড়েছে ৮৭ মণ ইলিশ মাছ। যা বিক্রি হয়েছে ২৭ লাখ টাকায়।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) পাথরঘাটা দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) ঘাটে এফবি সাইফ-২ ট্রলারে নিয়ে আসা হয় ইলিশগুলো। পরে সকাল ১২টায় ইলিশ মাছগুলো ২৭ লাখ টাকায় ক্রয় করেন সেমার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানি অ্যান্ড কমিশন এজেন্ট।
এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি মো. জামাল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাই। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়তে থাকে জালে। পরবর্তীতে ট্রলারে মাছ রাখার জায়গা না থাকায় দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) পাথরঘাটা নিয়ে আসি। ২৭ লাখ টাকায় মাছগুলো সেমার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানি অ্যান্ড কমিশন এজেন্টের কাছে বিক্রি করি।
স্থানীয় সংবাদকর্মী এএসএম জসিম বলেন, আমার এই বয়সে এতো বড় ইলিশ এবং একই ট্রলারে এতো পরিমাণ মাছ দেখিনি। এক-একটি মাছের ওজন হবে দেড় থেকে দুই কেজি।
মেসার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানির স্বত্বাধিকারী পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ জেলেদের জালে ধরা না পড়লেও একটি ট্রলারে এতো মাছ নজিরবিহীন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটার মৎস্য খাতে এটি নজির।
এদিকে ৬৫ দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যয়ের মধ্যে গত ২৩ জুলাই থেকে বুকভরা আশা নিয়ে মাছ শিকারে গেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না। ইলিশের ভরা মৌসুমেও জালে মিলছে না রূপালি ইলিশ। জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু মৌসুমের প্রায় দুই মাস পার হলেও ইলিশ না পাওয়ায় তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। ফলে বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে একপ্রকার শূন্যতার মাঝেও খুশি জেলেরা।
Leave a Reply